মঙ্গলবার সন্ধ্যায়, একটি টার্ম শিট অনুযায়ী কোম্পানিটি ৯.৯৪ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করবে বলে জানিয়েছিল, যা আজ ১৮ শতাংশে পরিবর্তিত হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে, ভোডাফোন গ্রুপের বাজারমূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বিক্রির মাধ্যমে কোম্পানিটি তাদের ঋণমুক্তির প্রক্রিয়া দ্রুত করতে পারবে, যা কোম্পানির স্থিতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
কোম্পানিটি জানিয়েছে, এই বিক্রির মাধ্যমে ১৫,৩০০ কোটি টাকা বা ১.৭ বিলিয়ন ইউরো সংগ্রহ করা হয়েছে, “যা ভোডাফোনের ভারতের সম্পদের বিরুদ্ধে সুরক্ষিত €1.8 বিলিয়ন এর ব্যাংক ঋণগুলি উল্লেখযোগ্যভাবে পরিশোধ করতে ব্যবহৃত হবে”। এই ঋণমুক্তির প্রক্রিয়া কোম্পানির ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ পরিকল্পনাগুলিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে এবং তাদের ব্যবসায়িক সম্প্রসারণে সহায়ক হবে।
শেয়ার বিক্রির পর, ভোডাফোন ইন্ডাস টাওয়ার্সে ৮২.৫ মিলিয়ন শেয়ার ধারণ করছে, যা ৩.১ শতাংশ শেয়ারহোল্ডিংয়ের সমান, কোম্পানিটি জানিয়েছে। এই বিক্রির ফলে ভোডাফোনের বাজারে শেয়ারের পরিমাণ কমলেও, তাদের আর্থিক স্থিতিশীলতা ও ঋণমুক্তির জন্য এটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
ভোডাফোনের শেয়ারের একটি অংশ কিনেছে ভারতী এয়ারটেল, যা এক্সচেঞ্জ ফাইলিংয়ে জানিয়েছে তারা টাওয়ার কোম্পানির ২.৭ কোটি শেয়ার বা ১ শতাংশ শেয়ার অর্জন করেছে। ইন্ডাস টাওয়ার্সে এয়ারটেলের শেয়ার প্রায় ৪৯ শতাংশে উন্নীত হবে। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে এয়ারটেল তাদের নেটওয়ার্ক ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারবে এবং ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে আরও ভালো পরিষেবা প্রদান করতে সক্ষম হবে।
এয়ারটেলের এই পদক্ষেপের ফলে কোম্পানিটি তাদের বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান শক্তিশালী করবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বিনিয়োগ এয়ারটেলের ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ ও গ্রাহকসেবার মান উন্নতিতে সহায়ক হবে। এছাড়াও, ইন্ডাস টাওয়ার্সের শেয়ারহোল্ডিং বৃদ্ধির মাধ্যমে এয়ারটেলের সামগ্রিক সম্পদের মান বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের বাজারমূল্য আরও দৃঢ় হবে।
ইন্ডাস টাওয়ার্সের শেয়ার বিক্রির এই সিদ্ধান্তটি ভারতের টেলিযোগাযোগ খাতের আরও বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের বিনিয়োগ এবং শেয়ারহোল্ডিং পরিবর্তনের মাধ্যমে ভারতের টেলিযোগাযোগ খাতের প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হবে এবং গ্রাহকদের জন্য আরও উন্নত সেবা নিশ্চিত করা যাবে।
ভবিষ্যতে, ভোডাফোন এবং এয়ারটেলের এই সিদ্ধান্তগুলি তাদের ব্যবসায়িক স্থিতিশীলতা এবং সম্প্রসারণে সহায়ক হবে। উভয় কোম্পানিই তাদের গ্রাহকসেবা এবং নেটওয়ার্ক ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে এবং এই ধরনের পদক্ষেপগুলি তাদের লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে।