আমদানি নিয়ন্ত্রণ এবং ডলারের ঘাটতি সত্ত্বেও, বাংলাদেশের বৃহৎ-স্কেল উৎপাদন (এলএসএম) খাতে পুনরুদ্ধার ঘটেছে, যা অর্থনৈতিক চাপ হ্রাস করেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) অনুযায়ী, জানুয়ারিতে এলএসএম খাতে ৬.৮৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা তিন মাসের পতনের পর উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখায়। এই বৃদ্ধি আমদানি নিয়ন্ত্রণ এবং ডলারের ঘাটতি মোকাবেলা করে উৎপাদন খাতের প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রমাণ দেয়।

এলএসএম শিল্প অর্থনীতিতে প্রায় ১১ শতাংশ অবদান রাখে, এবং জানুয়ারিতে কোয়ান্টাম সূচক ২৪৪.৩৬ পয়েন্টে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের ২২৮.৭০ পয়েন্ট থেকে বেশি। বিশেষভাবে, এলএসএম সূচক ধারাবাহিক বার্ষিক বৃদ্ধি দেখায়, যেখানে ২৩টি শিল্প বিভাগের মাত্র ছয়টিতে হ্রাস পেয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা এই বৃদ্ধিকে রমজান এবং সাধারণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার মাধ্যমে চালিত অর্থনৈতিক কার্যক্রমের ফল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। উচ্চ ইনপুট খরচ এবং নীতি হারের মতো ঘরোয়া চ্যালেঞ্জগুলির পরিপ্রেক্ষিতে এলএসএম সম্ভাব্য বৃদ্ধির চেয়েও বেশি অবদান রেখেছে, যা বিশ্লেষকদের অবাক করেছে।

বিশেষভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে পোশাক, খাবার ও পানীয়, রাসায়নিক, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স খাত, যেখানে খাবার ও পানীয় খাতে ১৭.৬ শতাংশ এবং প্রায় ৩২ শতাংশ যথাক্রমে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে, টেক্সটাইল, রাবার এবং মোটর যানবাহন উৎপাদনে হ্রাস পেয়েছে।

সামনের দিকে তাকালে, পোশাক উৎপাদনে টেকসই বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাড়তি তাপমাত্রা থেকে পানীয় উৎপাদন বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হচ্ছে।